বিয়ের আগে প্রেম ও সম্পর্ক সম্পর্কে ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশনা।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ০১:৩৫ পিএম
![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
বর্তমান সময়ে অনেক তরুণ-তরুণী বিয়ের আগেই প্রেম, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও রোমান্টিক যোগাযোগকে আধুনিকতার অংশ মনে করেন। সিনেমা হল, পার্ক বা ক্যাফেতে দেখা করা, হাতে হাত ধরা, বা একান্তে সময় কাটানো — অনেকের কাছে যেন স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের সম্পর্ক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ (হারাম)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— “যার সঙ্গে বিবাহ বৈধ নয়, তার সঙ্গে একান্তে থাকা অনুমোদিত নয়।” (সহীহ মুসলিম)
অর্থাৎ, বিয়ের আগে নারী-পুরুষের একান্তে দেখা করা বা ঘনিষ্ঠতা ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিয়েই ইসলামে সম্পর্কের পবিত্র পথ
ইসলাম সম্পর্কের একমাত্র বৈধ ও সম্মানজনক উপায় হিসেবে বিয়েকে নির্দেশ করেছে। প্রেম বা রোমান্টিক সম্পর্ক বিয়ের আগে শুধু চারিত্রিক পতনই নয়, বরং ঈমান দুর্বল করার অন্যতম কারণ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন—
“আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন পবিত্র ও উত্তম বস্তু, আর হারাম করেছেন অপবিত্র ও ক্ষতিকর জিনিস।”
(সূরা আল-আরাফ: আয়াত ১৫৭)
পর্দা ও দৃষ্টিনিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব
কোরআনে মুমিনদের উদ্দেশে বলা হয়েছে—
“মুমিন পুরুষরা তাদের দৃষ্টি নত রাখবে এবং লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করবে।”
(সূরা আন-নূর: আয়াত ৩০)
একইভাবে, “মুমিনা নারীরাও তাদের দৃষ্টি সংযত রাখবে, লজ্জাস্থান হেফাজত করবে এবং তাদের সৌন্দর্য অপ্রয়োজনে প্রকাশ করবে না।”
(সূরা আন-নূর: আয়াত ৩১)
বিবাহপূর্ব প্রেম ও জিনার বিপদ
বিবাহের আগে প্রেম বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনেক সময় মানুষকে জিনার পথে টেনে নেয়।
আল্লাহ বলেন—
“ব্যভিচারের নিকটেও যেও না, নিশ্চয়ই এটি একটি অশ্লীল কাজ।”
(সূরা বনী ইসরাইল: আয়াত ৩২)
নবী করিম (সা.) বলেছেন—
“যে নারী অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে, তার সে বিয়ে বাতিল।”
(তিরমিযি: হাদিস ১০২১)
এ ধরনের অবৈধ সম্পর্কের পরিণতি পৃথিবীতেই ভয়াবহ — নৈতিক অবক্ষয়, পরিবারে কলঙ্ক, আত্মহানি, এমনকি আত্মহত্যার মতো বিপর্যয়কর ফলাফল ঘটতে পারে।
পরকালে এর শাস্তি আরও কঠিন ও স্থায়ী।
শেষ কথা
ইসলাম প্রেম ও সম্পর্কের বৈধতা দিয়েছে কেবল বিবাহবন্ধনের মধ্যে।
বিয়ের আগে প্রেম, স্পর্শ বা শারীরিক সম্পর্ক শুধু হারাম নয়, বরং তা সমাজ ও মানবতার জন্য গভীর ক্ষতির কারণ।
No comments